
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রকৌশলে স্নাতক। নির্বাচন কমিশন ও রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকতা করছেন

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলন ও আপ বাংলাদেশের উদ্যোগে আগামীকাল বিকেল নাগাদ জোটটি আত্মপ্রকাশ করবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গড়ে ওঠা ও এর পরবর্তী পর্যায়ে রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিভিন্ন এজেন্ডায় এ দলগুলোর মধ্যে নৈকট্য ছিল ও আছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও একই দিনে সংবিধান সংশোধনে গণভোট আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন আয়োজনের কর্মপরিকল্পনার বেশির ভাগই সম্পন্ন, অপেক্ষা তফসিল ঘোষণার। গণভোট আয়োজনে একটি আইন প্রণয়নের অপেক্ষায় রয়েছে সংস্থাটি।

প্রায় তিন দশক ধরেই ভোটের মাঠে সুবিধা করতে পারছে না বামপন্থী দলগুলো। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাম দলগুলো পৃথক ভাবে অংশ নিলেও কেউ ১ শতাংশ ভোট নিজেদের বাক্সে তুলতে পারেনি।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৫০ লাখ ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইসি। এ পদ্ধতির চ্যালেঞ্জ নিয়েও ভাবনা রয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটির।

আনোয়ারুল ইসলাম সরকার চরচাকে বলেন, “পোস্টার ব্যানার এগুলো যেগুলো আছে এগুলো আচরণ পরিপন্থি। দলগুলোকে আহ্বান জানাব দয়া করে এগুলো তফসিল ঘোষণার আগে আপনারা নিজ দায়িত্বে সরায়ে নিবেন। তফসিল ঘোষণার পর এগুলো থাকলে আচরণ বিধি ভঙ্গের কারণে যে সাজা-শাস্তি তাই প্রয়োগ হবে।”

একই ব্যক্তি একাধিক জায়গায় ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হলে আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের একাধিক শীর্ষ নেতা চরচাকে জানান, গণতন্ত্র মঞ্চ এবং সিপিপির সঙ্গ তাদের আসন সমঝোতা চলছে। বিশেষত গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের আসনের তালিকাও চেয়েছে বিএনপি।

ইসি বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সংজ্ঞায় যুক্ত করায় সশস্ত্র বাহিনীকে আর আলাদাভাবে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অতীতের মতো এবারও নির্বাচনে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্বে মোতায়েন করা হবে।

কমিশনের সুপারিশগুলোর মধ্যে যেসব বিষয় সাংবিধানিক নয়, সেগুলো অধ্যাদেশ বা অফিস আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তাই সরকার যেন এই বিষয়গুলো তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করে, সে অনুরোধ করা হয়েছে।

ভোটের প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে নিবন্ধন এবং আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এনসিপি। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন ও কয়েকটি সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে রাজপথে নামার ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।

এনসিপির অবস্থান স্পষ্ট যে তারা ‘শাপলা’কে দলীয় প্রতীক হিসেবেই দেখতে চায়। প্রতীক ইস্যুতে এনসিপির অবস্থান নিয়ে দলটির নেতারা বলছেন, তারা আন্দোলনের পথেই হাঁটবেন।